আর ভুল চায় না পিএসসি, ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষকদের কড়া বার্তা

আর ভুল চায় না পিএসসি, ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষকদের কড়া বার্তা

NT- 22K 976

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেউ কেউ পরীক্ষার্থীর কোনো কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য নম্বরই দেননি। অনেকে খাতার শেষে থাকা প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন। কোনো কোনো খাতায় পরীক্ষক নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। অনেকে আবার এমনভাবে নম্বর দিয়েছেন, যা পুনর্মূল্যায়নের জন্য তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে হয়েছে।

পিএসসির সূত্রগুলো বলছে, ওই ভুলগুলো দেখিয়ে এবারের পরীক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি আবার কোনো পরীক্ষক একই ধরনের ভুল করেন বা দায়িত্বে অবহেলা করেন, তাহলে ওই পরীক্ষকে আর খাতা দেওয়া হবে না। তাঁকে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করা হবে।বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনপরীক্ষকদের দিকনির্দেশনা দেওয়াসহ সতর্কতামূলক ওই সেমিনার এক সপ্তাহ ধরে চলে উল্লেখ করে একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষকদের খাতা দেখার সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে পিএসসি। বিসিএসসের পরীক্ষার খাতা দুজন পরীক্ষক দেখেন। প্রথম পরীক্ষক ১৫ দিনের মধ্যে ১০০ খাতা দেখবেন এবং পিএসসিতে জমা দেবেন। এটি জমা দিলে দ্বিতীয় পরীক্ষককে সেসব খাতা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষকদেরও ১৫ দিনের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করতে হবে। কেউ বেশি সময় নিলে আগামী দিনে পিএসসির কোনো পরীক্ষায় তিনি খাতা পাবেন না। ওই সেমিনারে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন পরীক্ষকের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁরা বলেন, সেমিনারে অংশ না নিলে কাউকে খাতা দেখতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আগের পরীক্ষকদের ভুলগুলো দেখানো হয়েছে। তাঁরা যাতে একই ভুল আর না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে সেমিনার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পিএসসির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা প্রায় ৮০ হাজার। এসব খাতা দেখতে ৮০৯ জন পরীক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে পিএসসি। আগের পরীক্ষকদের ভুল দেখানো হয়েছে ও সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সেমিনারের জন্য পিএসসির বাড়তি সময় ও অর্থ যাচ্ছে, কিন্তু আমরা একই ধরনের ভুল বারবার দেখতে চাই না।’ উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।

সূত্রঃ প্রথম আলো 

Leave a Comment