গভীর রাতে ফল প্রকাশের কারণ জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি রিসিভি করেননি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার স্থান, তারিখ ও সময় পরবর্তী সময় জানানো হবে। প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ অনুসরণ করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা গত ২০ মে ২৯টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১০০ জন। লিখিত পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হলো।
প্রাথমিকের প্রথম ধাপেও লিখিত পরীক্ষার ২০ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪০ হাজার ৮৬২ জন।
প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার আগামী রোববার থেকে শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নোটিশ বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রথম ধাপে মৌখিক পরীক্ষা রোববার শুরু হলেও এখনো অনেক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার কার্ড পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। নাহিদা সুলতানা নামের এক পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে রোববার ভাইভা শুরু। কিন্তু আমার ভাইভা কার্ড এখনো পাইনি। কার্ডের জন্য দুশ্চিন্তা করব, নাকি ভাইভার প্রস্তুতি নেব?’
সহকারী শিক্ষক পদের তৃতীয় ও শেষ ধাপের লিখিত পরীক্ষা ৩ জুন ৩২ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৮। এ ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
সুত্রঃ প্রথম আলো