ইংরেজি বিষয়ে ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে যার মধ্যে পার্ট এ- ১০০ যেখানে প্রশ্নোত্তর ৩০, ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডার ৩০, সারাংশ ২০, চিঠিপত্র ২০। অপর দিকে পার্ট বি- ১০০ যেখানে অনুবাদ ৫০, রচনা ৫০।
১. প্রশ্নোত্তর পর্ব লিখার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে প্যাসেজ থেকে সরাসরি কোনো বাক্য বা শব্দ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা। প্রয়োজনে সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে হবে, এবং বাক্যগুলো প্যাসেজ থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে লিখতে হবে। নিজের মতো করে। খুব বেশি বর্ণণামুলক লিখার প্রয়োজন নেই। সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর অধিক আকর্ষণীয়। সারমর্ম লিখার ক্ষেত্রেও একই রকম পরামর্শ থাকবে। অর্থাৎ প্যাসেজের বাক্য কাঠামো ও শব্দসমূহ যেন একই রকম না থাকে।
২. চিঠিপত্র লিখার নিয়ম যেকোনো ভালো বই বা ইন্টারনেট থেকে দেখে নেয়া যেতে পারে। দেশের সমসাময়িক বিষয়সমূহ ইংরেজিতে আলোচনা করার দক্ষতা তৈরি করতে হবে।
৩. অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুশীলনের বিকল্প নেই, ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয়, লিড নিউজ, অর্থ ও শিল্প, পরিবেশ সংক্রান্ত পাতা সমূহের খবরা বাংলা ও ইংরেজিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করতে হবে। সবসময় খাতা কলম নিয়ে অনুবাদ করতে হবে এমন নয়, প্রয়োজনে মুখে মুখে অনুবাদ করে সময় ও শ্রম বাঁচানো যায়।
৪. গ্রামার অংশের জন্য প্রিলির পড়াশুনাই যথেষ্ট। এর বাইরে শব্দভাণ্ডার বিকশিত করলে সুফল মিলবে। পত্রিকা পড়ার সময় অচেনা শব্দগুলো নোট করে নিলে দ্রুত শব্দভাণ্ডার বিকশিত করা সম্ভব। বাক্যগঠনের ক্ষেত্রে মানসম্মত বাক্য হওয়া জরুরি। বাক্য গঠনে কিছু পাওয়ার ওয়ার্ড ব্যবহার করলে ভালো হয়। কিছু পাওয়ার ওয়ার্ডসমূহ ইন্টারনেট থেকে দেখে নেয়ার অনুরোধ রইল।
৫. অপর দিকে রচনা লিখায় ভালো নম্বর তুলতে হলে নির্দিষ্ট টপিকের উপর লিখা অনুশীলনের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো হলো: অর্থনীতি, শিল্প, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ, পরিবেশ, বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি, স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান, নারী নেতৃত্ব, সামাজিক সমস্যা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উদ্ভাবন ইত্যাদি। এসব টপিকের উপর তথ্য ও উপাত্ত সম্পর্কে ধারণা রাখা ভালো তবে মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই বা ইংরেজি রচনায় চার্ট, ছক এসবের তেমন প্রয়োজনীয়তা নেই। সর্বোপরি, নির্ভুল লিখা, কাটাকাটিমুক্ত পরিষ্কার উপস্থাপনা ও সুন্দর শব্দভাণ্ডার ইংরেজিতে ভালো নম্বর পাওয়ার মূল চাবিকাঠি।
অনুলিখন: মোছা: জেলি খাতুন
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ।