Need to Know How to get Canada Student Visa

Canada Student Visa – কানাডার ষ্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনাকে প্রথমে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পছন্দসই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে।

NT44K26

বর্তমানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে কানাডা। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা, পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ, পড়াশোনা শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিবাসী হবার সুযোগ ছাড়াও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার জন্য কানাডাকে বলা হয়ে থাকে উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য। নর্থ আমেরিকার দেশ কানাডা মূলত শীত প্রধান একটি দেশ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ । এই দেশের আয়তন ৯.৯৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩,৭৯,৭১,০২০ জন। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজী এবং মুদ্রা কানাডিয়ান ডলার। এই দেশের জিডিপি $১.৮১২ ট্রিলিয়ন আর পার কাপিটা জিডিপি হল ৪৯,৯৩১ ডলার। এই দেশের রাজধানী অটোয়া আর সর্ববৃহৎ শহর টরেন্টো। 

অফার লেটারঃ-

কানাডার ষ্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনাকে প্রথমে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পছন্দসই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবে প্রদত্ত আবেদন করার নিয়ম অনুসারে আবেদন করে, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।

স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন

আপনি কানাডা স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন, এটি একটি মেহনতশীল প্রক্রিয়া হতে পারে, কিন্তু আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

ধাপ 1: আবেদনের প্রস্তাবনা

আপনার প্রথম ধাপ হলো সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন কানাডার (CIC) অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়া এবং আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করা। আপনার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংগ্রহ করতে শুরু করুন।

ধাপ 2: ডকুমেন্টের সংগ্রহ

আবেদন ফর্ম পূর্ণ করার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি সংগ্রহ করুন:

কোর্সের অফার লেটার বা প্রবেশ লেটার (যেটি আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নেয়ার জন্য পেয়েছেন)
প্রশাসনিক ফি এবং অন্যান্য খরচের প্রমাণ (যেমন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
নিজস্ব আর্থিক স্থায়ীতা প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আবেদনকারীর প্রাপ্তির প্রমাণ বা স্পন্সরের সাক্ষরিক সহায়তা)
আপনার জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি
আপনার স্কুল এবং আবেদনকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি একাডেমিক মার্কশিট
মেডিকেল রিপোর্ট, যা আপনি স্টুডেন্ট ভিসা জন্য স্বাস্থ্য যাচাই করতে হবে
পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য মেডিকেল সাক্ষরিক প্রমাণ (স্টেটমেন্ট অব গুড হেল্থ)
যদি প্রয়োজন হয়, সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট নয় হওয়ার প্রমাণ

ধাপ 3: অনলাইন আবেদন

CIC ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর, আপনি অনলাইন আবেদন করতে হবে। আবেদন ফর্ম পূর্ণ করে সব প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্ট স্যান করুন। আপনার আবেদন ফি সম্পূর্ণ অর্থে প্রদান করুন।

ধাপ 4: বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন

আপনার বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন যেহেতু প্রয়োজন, তাদের দরকার অনুসরণ করুন। আপনি এই তথ্যটি বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন অফিসে প্রেরণ করতে হতে পারেন এবং সম্মানিত খরচ প্রদান করতে হতে পারেন।

ধাপ 5: আবেদন যাচাই এবং সাক্ষাৎকার

আপনার আবেদন ফর্ম জাচাই করা হবে এবং প্রয়োজন হলে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা পেতে পারেন। আপনি যদি কোন অতিরিক্ত তথ্য প্রদান করতে বলেন, তাদের সাথে সম্মিলিত করুন।

ধাপ 6: কনফার্মেশন লেটার

আপনার আবেদন স্বীকৃত হলে, আপনি একটি কনফার্মেশন লেটার পাবেন। এই লেটার কানাডা পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন অফিসে প্রদর্শন করতে হবে।

ধাপ 7: টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা জন্য আবেদন

আপনি কানাডা পৌঁছানোর পর, আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা জন্য আবেদন করতে হবে। আপনি আবেদন করার জন্য আবশ্যক ডকুমেন্টগুলি সংগ্রহ করুন এবং আবেদন ফর্ম পূর্ণ করুন।

ধাপ 8: ভিসা ইন্টারভিউ

আপনার টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা জন্য আবেদন সম্পূর্ণ হলে, আপনার কানাডা ভিসা ইন্টারভিউ হতে পারে। এই ইন্টারভিউ সাক্ষাৎকারিক এবং আপনার প্রবেশ অনুমোদন পরীক্ষা হতে পারে।

ধাপ 9: ভিসা প্রাপ্তি

আপনি যদি ভিসা প্রাপ্ত করেন, তাদের দেওয়া মেয়াদের মধ্যে কানাডা পৌঁছানো এবং আপনার পড়ার প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হবে। স্টাডি পারমিট এবং টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা প্রাপ্তি সাধারণভাবে সময় নেয়, সুতরাং আপনি আপনার আবেদন সময়ে সব ডকুমেন্ট এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার সাথে যত্নশীলভাবে অবলম্বন করতে হবে।

কানাডা স্টাডি পারমিট অথবা টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা জন্য আবেদন করার প্রস্তাবনা অনুসরণ করে আপনি সাধারণভাবে আপনার পড়ার গতি শুরু করতে পারেন এবং কানাডা-এ বাস করতে পারেন। তবে, আবেদন প্রক্রিয়াটি সময় নেয় এবং কিছু সাধারণ বিশেষ ধাপ অনুসরণ করতে হতে পারে, তাই আপনি যত্ন সহকারে আপনার আবেদন সম্পূর্ণ করতে চাইবেন।

কানাডায় ডিগ্রির ধরন ও ভর্তির সেশন-

স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি ডিগ্রি। কানাডার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সেশন থাকে। আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুনেও সেশন শুরু হয় হয়ে থাকে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-

* পাসপোর্টের কপি।
* শিক্ষার্থীদের ফোন নম্বর দ্বারা ইমেল।
* পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
* মেডিকেল সার্টিফিকেট।
* ডিজিটাল ছবি।
* জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অনলাইন জন্মসনদ।
* পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের সনদ।
* সমস্ত একাডেমিক কাগজপত্র (ট্রান্সক্রিপ্ট + সার্টিফিকেট)।
* রেফারেন্স লেটার।
* স্টেট্মেন অফ পারপাস ।
* কাভার লেটার।
* সিভি।
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সনদ (IELTS, Duoilingo, TOEFL ইত্যাদি)
* ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সচ্ছলতা ।
* ট্রেড লাইসেন্স।
* TIN সার্টিফিকেট।
* ট্যাক্স রিটার্ন।
* ভিজিটিং কার্ড।
* পিতামাতার ছবি (পুরানো এবং নতুন)।
* পিতামাতার পাসপোর্ট বা এনআইডি।
* জমি, সম্পত্তি বা সম্পত্তির নথি।
* সম্পদের মূল্যায়ন এবং সম্পত্তির নথি।

খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ:

কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল—এই সময়ে কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা থাকে না। তখন আরও বেশি কাজ করা যায়। শিক্ষক সহকারী, বিক্রয়কর্মী, ফুড ক্যাটারিং, গবেষণা সহকারী, কম্পিউটার ওয়ার্কসহ বিভিন্ন খণ্ডকালীন কাজ শিক্ষার্থীরা করতে পারেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনা শেষে ৩ বছরের ওয়ার্ক ভিসা।

পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগঃ-

কানাডায় সাধারণত পড়াশোনা শেষ করার পরেই কাজ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, পরীক্ষার ফলাফল, সৃজনশীলতার উপর মূল্যায়ন করে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে বিভিন্ন সময় চাকরির মেলা বা প্লেসমেন্টের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলো থেকেও নিয়মিত জব-প্লেসমেন্ট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কানাডার বিভিন্ন সরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। অ্যাকাউন্টিং, প্রকৌশল, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, আইটিসহ গবেষণাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াঃ-

শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন। তবে কানাডা ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের তিন মাস আগে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন করতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডিয়ান এম্বাসির ঠিকানা: হাই কমিশন অফ কানাডা, বাংলাদেশ, Diplomatic Zone, United National Road, ঢাকা 1212

সময় সূচি: শুক্রবার-শনিবার- বন্ধ থাকে। রবিবার-সোমবার-মঙ্গলবার-বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪.৩০, বৃহস্পতিবার ৮.০০ থেকে ১.৩০ পর্যন্ত। মোবাইল নাম্বার: 02-55668444,

ওয়েবসাইটের ঠিকানা: https://www.internationnal.gc.ca/country-pays/bangladesh/dhaka-dacca.aspx?lang=eng

সবকিছু ঠিক থাকলে একমাসের মধ্যে আপনি হাতে পেয়ে যাবেন আপনার স্বপ্নের দেশের ভিসা।

 

 

 

আপনার ব্যবহৃত জিনিস টি বিক্রি করতে চান অথবা ব্যবহৃত জিনিস কিনতে চান? আপনি টিউশন চাইছেন বা একজন টিউটর খুঁজছেন ? আপনি বাসা/দোকান ভাড়া খুজছেন? আপনার চাহিদার কথা বিবেচনা করেই ১২ প্রকারের ক্যাটেগরির সমন্বয়ে আমরা সাজিয়েছি  AamarMarket.com   এখনই ভিজিট করুন- https://aamarmarket.com/

 

Post Related Things:

University admissions in Bangladesh , university admissions bd , admission date , medical admission requirements in Bangladesh , professional training courses in Bangladesh , skills development in Bangladesh , job interview questions in Bangladesh , cv writing format in Bangladesh , Job exam preparation in Bangladesh , job exam preparation , education in Bangladesh , 

Leave a Comment