অ্যানিমেটরদের কাজের চাহিদা বাড়ছে

অ্যানিমেটরদের কাজের চাহিদা বাড়ছে

( SA-25k 821 ) 

ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন। কাজের সুযোগ বেশি থাকায় ফ্রিল্যান্সারদের কাছে বর্তমানে জনপ্রিয় আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস। এ মার্কেটপ্লেসে এখন অ্যানিমেশনের কাজের চাহিদা বেশি। যাঁদের আঁকাআঁকি ভালো লাগে, তাঁরা মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে ঘরে বসে অ্যানিমেশনের কাজ করে আয় করতে পারেন।

আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে যাঁদের কাজের দক্ষতা ভালো এবং ক্লায়েন্টের কাছে সঠিক সময়ে কাজ বুঝিয়ে দেন, তাঁদের মধ্য থেকে সেরাদের ‘আপওয়ার্ক স্পটলাইট’ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচিত করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে এটি নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে ‘আপওয়ার্ক স্পটলাইট’ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচিত করা হয়েছে। সবশেষ এ বছর ‘আপওয়ার্ক স্পটলাইট’ ফ্রিল্যান্সার নির্বাচিত হয়েছেন সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল।

সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আট বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং করছি। আগের তুলনায় এখন অ্যানিমেশন কাজের চাহিদা অনেক বেশি দেখা যায়। এটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যাঁরা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান, তাঁরা অ্যানিমেশনের কাজ শিখলে দ্রুত ক্লায়েন্ট পাবেন।’

সুদীপ্ত কুমার আরও বলেন, ‘আপওয়ার্কে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০টি অ্যানিমেশন কাজের পোস্ট পাই। এগুলোতে আবেদন করলে দ্রুত উত্তর পাওয়া যায়। কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৭০ ভাগ। এসব কাজের মূল্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।’

অ্যানিমেশনের কাজ করতে চাইলে খুব বেশি ক্রিয়েটিভ হতে হবে, এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে প্রচুর সময় দিতে হবে বলে জানান সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, অ্যানিমেশন শুরু করার আগে অ্যাডোবি অ্যানিমেট, আফটার ইফেক্টস ও মিডিয়া ইনকোডার সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এ ছাড়া ভালো যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। অ্যানিমেশন ছাড়াও বর্তমানে আপওয়ার্কে গ্রাফিক ডিজাইন ও লোগো ডিজাইনের কাজে চাহিদা রয়েছে বলে জানান সুদীপ্ত।

 

 

সূএ : প্রথম আলো

Leave a Comment