সন্তান মানুষ করা কঠিন, মা-বাবারা এই ১০টি ভুল করলেই শিশুর ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার

সন্তান মানুষ করা কঠিন, মা-বাবারা এই ১০টি ভুল করলেই শিশুর ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার

NT-21K 923

ছোটবেলার শিক্ষাই তাঁর আগামীর সোপান। ফলে সন্তানকে মানুষ করার পদ্ধতি জানা দরকার। এমন কিছু করবেন না যা তাকে মানুষ করে তোলার পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। সন্তানের সঙ্গে কী কী করবেন না-

বর্তমান যুগে সন্তানকে মানুষ করা সহজ কাজ নয়। শিশু বয়সে যা শেখাবেন সেটাই সে শিখবে, সেভাবেই সে বড় হবে।ছোটবেলার শিক্ষাই তাঁর আগামীর সোপান। ফলে সন্তানকে মানুষ করার পদ্ধতি জানা দরকার। এমন কিছু করবেন না যা তাকে মানুষ করে তোলার পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। সন্তানের সঙ্গে কী কী করবেন না

১। ফোন ব্যবহারে ছাড় – আজকাল, বিশেষ করে করোনা অতিমারির পরে শিশুরা আর খেলার মাঠে যায় না। তার পরিবর্তে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে গেম খেলতে পছন্দ করে। যা তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাধা হয়ে উঠেছে। যে সব শিশু গেম খেলতে পছন্দ করে না, তারা ইউটিউবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও দেখে। তা শিশুর চোখ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর শুধু খারাপ প্রভাব ফেলছে না, তার সার্বিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২। শেখানোর বদলে বকাঝকা – অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের সামান্য কিছুতেই বকাঝকা করা শুরু করেন। শিশু কিছু বুঝতে না পারলেই বকা দেন মা-বাবারা। এতে শিশুটি কৌতূহল হারিয়ে ফেলে। সে জিজ্ঞাসা করতে ভয় পায়। সন্তানও ছোট বয়স থেকে কারণে-অকারণে রেগে যেতে পারে।

৩। অধৈর্য্য হতে শেখাবেন না – আজকের প্রজন্মের ধৈর্য্যের বড় অভাব। তাই সন্তানের মধ্যে ধৈর্য্য আনার চেষ্টা করুন। প্রথমে নিজের মধ্যে ধৈর্য আনুন, বিশেষ করে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তার পর সন্তানকে ধীরস্থির করুন।

৪। হারের শিক্ষা – প্রতিযোগিতার যুগে ছোট বয়স থেকে জয়ের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানকে কৃতী দেখতে চাইছেন। সন্তানকে সফল দেখা অন্যায় নয়। তবে অভিভাবকদের মাথায় রাখা উচিত, সন্তানকেও বাঁচার পরিসর দেওয়া দরকার। তারও ইচ্ছা-অনিচ্ছা রয়েছে। সে আপনার ইচ্ছাপূরণের মেশিন নয়। তাকেও ব্যর্থতা শিখতে হবে। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫। সঙ্গে সঙ্গে কিছু দেবেন না – অনেক বাবা-মা সন্তানদের সময় দিতে পারেন না। তার পরিবর্তে সন্তানের প্রতিটি জেদকে ভালবাসা হিসাবে পূরণ করে দেন। তখন তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে না। শিশুদের প্রতিটি জেদ অবিলম্বে পূরণ হলে সে জীবনে ঠিক-ভুলের ফারাক করতে শেখে না।

৬। তুলনা করা – সব শিশু এক নয়। সবার মধ্যেই কিছু ভাল বা মন্দ থাকতে পারে। আপনার শিশু কোনও একটি বিষয়ে অন্যদের চেয়ে ভাল না-ও হতে পারে। আবার অনেকক্ষেত্রে সে এগিয়ে থাকে। তাই নিজের সন্তানকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে তার মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে মা-বাবার থেকে দূরত্বও।

৭। নিজেকে শোধরান – শিশুদের সুস্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য মা-বাবার নিজেদের মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হবে। শিশুদের উপর কোনও কিছু চাপানোর আগে সন্তানের সামনে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

৮। চাহিদার আগে ইচ্ছা পূরণ করা – অনেক সময় বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করার আগে তাদের কোনও জিনিস দিয়ে দেন। মনে রাখবেন সন্তানের যেটা প্রয়োজন সেটাই দেবেন। তার বেশি হলে সে আর কোনও জিনিসের গুরুত্ব বুঝতে পারবে না।

৯। সন্তানকে দোষারোপ করা – সন্তানের আচরণ খারাপ মনে করলে কটূ কথা বলবেন না। তাকে বোঝান। এমনও হতে পারে অন্য কোনও বিষয়ে আপনার মাথা গরম, সেই রাগ দেখালেন সন্তানের উপর। এটা করবেন না।

১০। সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা – অনেক সময় বাবা-মায়েরা যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সন্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। সন্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। ঠকলে সে শিখবে। আপনার নজর রাখুন তার উপর।

সূত্রঃ bangla.aajtak.in

Leave a Comment