শেষ হলো দ্বিতীয় বারের মতো গুচ্ছ পরীক্ষা

শেষ হলো দ্বিতীয় বারের মতো গুচ্ছ পরীক্ষা

NT-21K 417

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে শেষ হলো দ্বিতীয় বারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা।  

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। 

গুচ্ছের পরীক্ষা দিতে মিরপুর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা সাব্বির হোসেন বলেন, আমি খুব সুন্দরভাবেই পরীক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছি। পরীক্ষা দিতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল ভালো। 

এবারের গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে এবারের গুচ্ছ পরীক্ষা নিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো ধরনের ত্রুটি ছিল না। সর্বোচ্চ নজরদারির কারণে ‘বি’ ইউনিটে প্রক্সি দিতে আসা একজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও অন্য কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা ভুল করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসেছে, তাদেরও আমরা পরীক্ষা নিয়েছি।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার জানান, এবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তিপরীক্ষা জন্য ৪২ হাজার ১১০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। এসব শিক্ষার্থীদের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় মোট ২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি করে উপকেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন গতবার প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে অনেকে অনেক রকমের প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এবার গুচ্ছ পরীক্ষায় কোন কেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগ পাইনি। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, আজকে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে সক্ষম হয়েছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও দুটি কেন্দ্রে মোট ১৮ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দুটি উপকেন্দ্রে আমরা পরীক্ষা নিয়েছি।

দ্বিতীয় বারের মতো গুচ্ছ পরীক্ষার সার্বিক বিষয়ে গুচ্ছের আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবার গুচ্ছের পরীক্ষায় যেসব ত্রুটিগুলো ছিল সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে তার যথাযথ সমাধান করার কারণেই আমরা এবারের গুচ্ছ পরীক্ষা আমরা সুষ্ঠভাবে নিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশা করি আগামীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষাকে আরও গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক করার যথাযথ পদক্ষেপ নেব।

তিনি আরও বলেন, গুচ্ছের বাণিজ্য অনুষদে প্রায় তিন হাজার ৭০টি আসন রয়েছে। সেই হিসেবে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ১৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। কোনো পরীক্ষার্থী যদি ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন তাহলে তিনি ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে পুনরায় ফলাফল চেক করতে আবেদন করতে পারবে। 

সূত্রঃ Dhaka Post

Leave a Comment