সহকারী জজ হতে চাইলে

সহকারী জজ হতে চাইলে

( SA-25 826 )

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয় (বিজেএসসি) সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (১৫শ বিজেএস) পরীক্ষার মাধ্যমে এবার নিয়োগ পাবেন ১০০ জন। তবে কমিশন সূত্রে জানা যায়, পদের সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। ইতিমধ্যে আবেদন শুরু হয়েছে। প্রার্থীরা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) অথবা আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা কোনো স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিন বছর মেয়াদি স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকতে হবে। আইন বিষয়ে স্নাতক অথবা স্নাতক (সম্মান) অথবা স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে পরীক্ষা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের আগে শেষ হতে হবে।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীদের বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে (http://www.bjsc.gov.bd/) প্রবেশ করে কমিশনের নির্ধারিত বিজেএসসি ফরম পূরণ করে অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। সফলভাবে আবেদন জমা হওয়ার পর টেলিটক নম্বর থেকে পরীক্ষা ফি বাবদ ১২০০ টাকা জমা দিতে হবে।

প্রাথমিক পরীক্ষা

আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রাথমিক পরীক্ষায় (প্রিলিমিনারি পরীক্ষা) অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পরীক্ষায় মোট ১০০টি এমসিকিউ থাকবে। প্রতিটি এমসিকিউয়ের মান এক নম্বর। তবে প্রতিটি এমসিকিউয়ের ভুল উত্তরের জন্যে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রাক্​ যোগ্যতা হিসেবে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রাথমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৫০। প্রাথমিক পরীক্ষায় সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়, সাধারণ গণিত, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং আইন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর প্রার্থীর লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করা হবে না। এ পরীক্ষা–সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা আছে।

লিখিত পরীক্ষা

১৫শ বিজেএস পরীক্ষায় ১০০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যেসব পরীক্ষার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, শুধু তাঁরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গড়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে একজন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন। কোনো পরীক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ৩০ নম্বরের কম পেলে তিনি লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের ১৪ থেকে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে।

মৌখিক পরীক্ষা

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা ‘তথ্য, নির্দেশনা ও বিস্তারিত সিলেবাস’ বইয়ের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা আছে। শুধু লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

সুযোগ-সুবিধা

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, সহকারী জজ থেকে বদলি হিসেবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাকরির সুযোগও রয়েছে। জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী জজ/ সিনিয়র সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, যুগ্ম জেলা জজ/ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ/ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজ হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া প্রেষণে আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধীন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পদ মর্যাদা অনুযায়ী পদায়নের সুযোগ রয়েছে।

সূএ : প্রথম আলো

Leave a Comment