Higher Study in Austria 2024

NT57K 500

Higher Study in Austria 2024 – অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে বিনা বেতনে বা স্বল্প বেতনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ।

আর্থিক মাথাপিছু আয়ের হিসাবে অস্ট্রিয়া পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান যোগাযোগব্যবস্থার মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। শুধু জীবনমান বা যোগাযোগ নয়, অস্ট্রিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাও খুবই মানসম্পন্ন। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষেই থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে  ৯৮ শতাংশ সাক্ষরতার হারের দেশটি কয়েক দশকজুড়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করে আসছে।

Higher Study in Austria 2024
Higher Study in Austria 2024

উচ্চশিক্ষার অন্যতম গন্তব্য

জাতীয়ভাবে আর্থসামাজিক অবস্থা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ট্রিয়া একটি নিরাপদ অভিবাসনের দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ব্যবসা ও শিক্ষাভিত্তিক নেটওয়ার্কগুলোতে এর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশটিকে পরিণত করেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে।

অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থী ও স্কলারদের অভিজাত নেটওয়ার্কগুলোতে বহুল সমাদৃত। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি ও টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার কিউএস র‍্যাঙ্কিং যথাক্রমে ১৩৭ ও ১৯০। এ ছাড়া ৪১৩ নম্বর অবস্থানে রয়েছে গ্রাজ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ও ৪৭২তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নাম জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ। সেনজেনভুক্ত হওয়ায় সুযোগ থাকছে একই সঙ্গে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো ভ্রমণ করার। এর মাধ্যমে একাধিক ডিগ্রি নেওয়া, চাকরি কিংবা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ারকে সুবিস্তৃত করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

যোগ্যতা 

প্রধান ভাষা জার্মান হওয়ায় দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি স্কলারশিপ ও চাকরির প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্ব পায় জার্মান ভাষার ওপর দক্ষতা। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়ন ফ্রি। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা জার্মান ভাষায় পারদর্শী, তাঁরা তাঁদের অধ্যয়ন খরচে অনেকাংশে ছাড় পান। তবে অস্ট্রিয়া থেকে ডিগ্রি লাভের জন্য জার্মান-ই একমাত্র ভাষা নয়। এর বিকল্প হিসেবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাও, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব পায়।

ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য প্রয়োজন হয় ডিপ্লোমা কিংবা হাইস্কুলের সনদ। স্নাতকোত্তর যেকোনো কোর্স বা ডিগ্রির জন্য একই বা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক করা থাকতে হয়। অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিগুলোতে স্নাতক ডিগ্রিতে আবেদনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে পেশাদার অভিজ্ঞতা।

মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য ন্যূনতম ১৮০ ইসিটিএস (ইউরোপিয়ান ক্রেডিট ট্রান্সফার অ্যান্ড অ্যাকুমুলেশন সিস্টেম) ক্রেডিট থাকা আবশ্যিক। এর সঙ্গে কমপক্ষে ছয় সেমিস্টারের প্রাসঙ্গিক স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হয়। পিএইচডি প্রোগ্রামগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে গবেষণা বা সমতুল্য অধ্যয়নের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় 

  • ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়
  • টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা
  •  ইউনিভার্সিটি অব ইনসব্রুক
  • ক্লাজেনফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয়
  • ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
  • গ্রাজ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
  • জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ
  • ইউনিভার্সিটি অব গ্রাজ
  • ইউনিভার্সিটি অব ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড লাইফ সায়েন্সেস, ভিয়েনা (বকু)।
  • শিল্পকলা ও হিউম্যানিটিস
  • ব্যবসা প্রশাসন
  • ভাষা
  • মনোবিজ্ঞান
  • মার্কেটিং
  • আন্তর্জাতিক ব্যবসা
  • কম্পিউটারবিজ্ঞান
  • প্রকৌশল।

আবেদনের উপায়

সাধারণত দুটি মৌসুমকে কেন্দ্র করে স্নাতক বা ডিপ্লোমা এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। একটি উইন্টার সেমিস্টার, যেটি শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে আর সামার সেমিস্টার শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। অবশ্য কোর্সভেদে প্রতি মৌসুমেই নিবন্ধনের সময়কাল ভিন্ন হয়ে থাকে, যা হালনাগাদ করা হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে। এ অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে আবেদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোডের বিষয় থাকে।

  •  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র।
  • বিশ্ববিদ্যালয়, প্রোগ্রাম ও কোর্সনির্বিশেষে ভর্তির আবেদনে সাধারণত যে কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হয়—
  • পাসপোর্ট ও ছবি বা নামের সত্যতা প্রমাণে প্রার্থীর নিজের দেশের সরকার কর্তৃক প্রদান করা যেকোনো পরিচয়পত্রের অনুলিপি।
  •  সর্বশেষ ডিপ্লোমা বা হাইস্কুল সনদ পরীক্ষা বা ব্যাচেলর ডিপ্লোমার সনদ
  • অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক ডিগ্রির জন্য প্রাসঙ্গিক পেশাদার অভিজ্ঞতা
  •  ইংরেজি ভাষার দক্ষতা হিসেবে আইইএলটিএস, পিটিই একাডেমিক বা টোয়েফল স্কোর কিংবা ক্যামব্রিজ সার্টিফিকেট।
  • জার্মান ভাষায় পাঠদান করা কোর্সের জন্য জার্মান ভাষার দক্ষতা প্রমাণপত্র।
  • এগুলোর পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আরও কিছু কাগজপত্র চেয়ে থাকতে পারে।

অস্ট্রিয়ার সেরা কয়েকটি স্কলারশিপ

এই অর্থ জোগাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়াতে রয়েছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের ব্যবস্থা। যেমন স্নাতক প্রোগ্রাম বা পিএইচডির জন্য দেওয়া হয় ‘আর্নস্ট মাক গ্র্যান্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্কলারশিপ’। এখানে মাসিক উপবৃত্তির পরিমাণ ১ হাজার ১৫০ ইউরো। এ ছাড়া ভ্রমণের চালান প্রদর্শনপূর্বক ভ্রমণ খরচের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ইউরো পাওয়া যায়।

জনপ্রিয় স্পনসর ইরাসমাস মুন্ডাসের অধীন থাকা প্রোগ্রামগুলো পুরো সময়ের জন্য টিউশন ফি বহন করে। এই স্পনসরশিপের মধ্যে রয়েছে ভিসা–সংক্রান্ত খরচ, ভ্রমণ খরচ, বিমা ও মাসিক ভাতা। সব মিলিয়ে বহন করা তহবিলের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১২ হাজার ইউরো।

ওইএডি (অস্ট্রিয়ান এজেন্সি ফর এডুকেশন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনালাইজেশন) অস্ট্রিয়ার প্রসিদ্ধ স্পনসরগুলোর মধ্যে একটি। তাদের ওইএডি হাউজিং স্কলারশিপ ছয় হাজার ইউরো পর্যন্ত বৃত্তি দিয়ে থাকে।

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব বৃত্তি প্রকল্প। যেমন ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা স্কলারশিপ বহন করে ১২ হাজার ইউরো।

জয়েন্ট জাপান বিশ্বব্যাংক স্নাতক বৃত্তি প্রোগ্রামের আওতায় রয়েছে টিউশন ফি, মাসিক উপবৃত্তি, রাউন্ড ট্রিপ বিমানভাড়া ও স্বাস্থ্যবিমা। এই সুযোগ-সুবিধা দেয় অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কোলাবোরেশন স্কলারশিপ।

‘হেলমুট ভিথ স্টাইপেন্ড ফর ওমেন ইন কম্পিউটার সায়েন্স’ নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি। এটি টিউশন ফি ও মাসিক উপবৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি পেশাদার দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দেয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠাসহ একটি বৈধ পাসপোর্ট। যার মেয়াদ থাকবে অস্ট্রিয়াতে পৌঁছার দিন থেকে কমপক্ষে তিন মাস।
  • দুটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • অস্ট্রিয়ান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার
  • অধ্যয়নকালে অস্ট্রিয়াতে জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহনের জন্য যথেষ্ট আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ। এখানে অবশ্যই ন্যূনতম এক বছরের খরচ হিসেবে কমপক্ষে ৬ হাজার ৬৩০ ইউরো দেখাতে হয়।
  • জরুরি চিকিৎসা ও ভ্রমণের খরচ বহন করা স্বাস্থ্যবিমা। এই ধরনের স্বাস্থ্যবিমার সাধারণ খরচ প্রতি মাসে প্রায় ৬৯ দশমিক ১৩ ইউরো।
  • অস্ট্রিয়াতে অগ্রিম বাসস্থানব্যবস্থার প্রমাণ।
  • এই কাগজপত্রগুলোর মূল কপিসহ এক সেট অনুলিপি প্রস্তুত রাখতে হবে। কোনো নথি বাংলা ভাষায় হলে তা প্রত্যায়িত জার্মান অনুবাদসহ জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

অস্ট্রিয়া থেকে রেসিডেন্স পারমিট দেওয়ার কথা দূতাবাসে জানানো হলে দূতাবাস প্রার্থীকে তা অবহিত করবে। এরপর শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের পদ্ধতি। অর্থাৎ এন্ট্রি পারমিটের জন্য আবেদন। রেসিডেন্স পারমিট মঞ্জুর করা হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে প্রার্থীকে এই এন্ট্রির জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর দূতাবাস থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশের জন্য ডি-টাইপ ভিসা দেবে। এরপর থেকে আরও তিন মাসের মধ্যে অস্ট্রিয়ায় পৌঁছে রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ করা যাবে।

 

What is Austria Scholarship for International students?

According to google, The Austria Scholarship for International Students is a prestigious program designed to attract talented individuals from around the world to pursue higher education in Austria. This scholarship offers a unique opportunity for international students to immerse themselves in the rich academic and cultural environment of Austria, a country known for its high-quality education system, historical universities, and vibrant cultural heritage.

Austria has long been a hub of academic excellence, with a strong tradition of research and innovation. The Austria Scholarship is a testament to the country’s commitment to fostering global education and intellectual exchange. It is open to students from various academic disciplines, ranging from the arts and humanities to science and technology, and is intended to support students at different levels of their academic journey, including undergraduate, graduate, and doctoral studies.

One of the key features of the Austria Scholarship is its inclusivity. The scholarship is available to students from a wide range of countries, ensuring that a diverse group of individuals can benefit from the opportunity to study in Austria. This diversity not only enriches the academic experience for scholarship recipients but also contributes to the global perspective within Austrian universities.

The scholarship typically covers various aspects of a student’s academic life, including tuition fees, living expenses, and sometimes even travel costs. This comprehensive support allows students to focus fully on their studies without the financial burden that often accompanies international education. The amount and specific provisions of the scholarship may vary depending on the type of program and the student’s level of study, but the overall aim is to make education in Austria accessible to talented students from around the world.

Austria is home to some of the oldest and most respected universities in Europe, such as the University of Vienna, the Vienna University of Technology, and the University of Innsbruck. These institutions offer a wide array of programs taught in both German and English, making them accessible to a broad range of international students. The Austria Scholarship provides recipients with the chance to study at these prestigious institutions, gaining not only academic knowledge but also exposure to cutting-edge research and innovation.

Beyond the academic benefits, studying in Austria offers students a unique cultural experience. Austria is renowned for its rich cultural heritage, which includes classical music, art, literature, and architecture. Living and studying in Austria allows international students to immerse themselves in this cultural landscape, attending world-class concerts, visiting historic sites, and experiencing the country’s famous hospitality.

The Austria Scholarship for International Students also promotes networking and collaboration among students from different countries. Recipients of the scholarship often become part of a vibrant international community, forging connections that can last a lifetime. These networks are valuable not only for personal and professional development but also for fostering international cooperation and understanding.

In conclusion, the Austria Scholarship for International Students is more than just financial support; it is an invitation to become part of Austria’s academic and cultural life. For many students, it represents a life-changing opportunity to pursue their academic dreams in one of Europe’s most beautiful and historically rich countries. Through this scholarship, Austria continues to strengthen its position as a leading destination for international education, attracting some of the brightest minds from around the globe.

আরও পড়ুন

            ― সরকারি চাকুরির বিজ্ঞপ্তি দেখুন

            ― চাকুরির পরীক্ষার রুটিন ও ফলাফল জানুন

            ― নতুন পুরাতন পণ্য বেচা-কেনা করুন


Post Related Things:

University admissions in Bangladesh , university admissions bd , admission date , medical admission requirements in Bangladesh , professional training courses in Bangladesh , skills development in Bangladesh , job interview questions in Bangladesh , cv writing format in Bangladesh , Job exam preparation in Bangladesh , job exam preparation, Education in Bangladesh, Scholarship in University of Melbourne 2024

Leave a Comment