NT47K158
Study Abroad From Bangladesh – এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পছন্দের তালিকায় যেমন বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তেমনি অনেকে বিদেশে পড়তে যাবার কথাও ভাবছেন।
অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও তাদের এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাহিরের দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করে থাকেন। এইচএসসির পর বিদেশে পড়তে গেলে অনেক বিষয় সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবতে শেখা এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে শেখার ফলে শিক্ষার্থীরা অন্যদের তুলনায় অধিক দক্ষভাবে চিন্তা ও কাজ করতে শেখে।
বাইরে আবেদন করতে হলে অনেক রকমের ডকুমেন্টের দরকার পরে। আবার সব ডকুমেন্টের দরকার সব দেশে সমান নয়। কিছু কিছু দেশে আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি ডকুমেন্টেরও দরকার পরে।
যেসব প্রস্তুতি দরকার
ভাষা দক্ষতার প্রমাণ: যেমন আইইএলটিএস, টোফেল, স্যাট অথবা জিআরই। একেকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এসব চাহিদার পার্থক্য থাকতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া,যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় দেশগুলোর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসে ব্যান্ড স্কোর অন্তত ৬ থাকা দরকার। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ে বেশিও চাইতে পারে। তবে আমেরিকাসহ আরো দেশের কোন কোন সাবজেক্টে টোফেল, স্যাট বা জিআরই দরকার হতে পারে। জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশে পড়তে গেলে যেমন ইংরেজিতে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই দেশের ভাষার দক্ষতা দরকার হতে পারে। বিশেষ করে জার্মানির মতো দেশে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ নিতে হলে জার্মান ভাষা জানতে হবে।
১.পাসপোর্ট
বাইরে পড়াশোনা করতে যাবেন এই চিন্তা আপনার মাথায় আসার সাথে সাথেই আপনাকে দেখতে হবে আপনার পাসপোর্ট করা আছে কিনা। বাইরে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করার কিছু সময় আগে থেকেই পাসপোর্ট করে রাখতে হবে যাতে করে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার বেশি তাড়াহুড়া করতে না হয়।
২. ইংরেজি দক্ষতা যাচাই
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনাকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা। প্রত্যেকটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। আপনি যখন যে দেশে যাবেন তখন আপনাকে সে ভাষার দক্ষতা যাচাই স্কোরের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ কিংবা ভিসার জন্য নির্বাচিত হবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি টার্গেট থাকে ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডা যাওয়ার তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার জন্য ভালো স্কোর অর্জন করতে হবে। বর্তমানে সারা-বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষার নাম হল IELTS, GRE, GMAT, TOFEL ইত্যাদি। উপযুক্ত পরীক্ষার স্কোর দিয়ে আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করতে হবে। তাই স্বপ্ন যদি থাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার তাহলে ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য প্রস্তুতি নিন এখনই।
৩. টার্গেট ঠিক রাখা:
এইচএসসি-র পর বিদেশে পড়তে যাচ্ছে দেখে আপনারও যেতে হবে, ব্যাপারটা এমন না। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা অনেকেই বাইরে যেতে চাই ৷ তাই ভেবেচিন্তে আপনার বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থ, পরিবারের সম্মতিসহ সবকিছুই বিবেচনায় রাখতে হবে।
৪. সিজিপিএ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রায়শই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ সিজিপিএ এর কথা বলে। ভালো স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আপনার রেজাল্ট এর দিকে নজর দিতে হবে। তাই অন্তত ৩.৫০ রাখার চেষ্টা করুন। কারণ রেজাল্ট ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকাংশে।
৫.ক্রেডিট ট্রান্সফার
দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি কোর্সে কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন বা করছেন। এখন আপনি ওই কোর্সই বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী। সেই ক্ষেত্রে দেশে করা কোর্সটির ক্রেডিট গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অব্যাহতি পত্র দাবি করতে পারেন। আপনার কোর্সটির জন্য কতটুকু ক্রেডিট পাবেন তা নির্ধারণ করবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এর জন্য যা লাগবে:
- একাডেমিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রত্যয়নপত্র।
- কোর্সের আউটলাইন ও পাঠ্যতালিকা।
- কোর্স লেভেল সম্পর্কিত তথ্যাদি।
- কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ কর্তৃক সুপারিশনামা।
- কোর্স অ্যাসেসমেন্টের পদ্ধতি।
- গ্রেডিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য।
- কোর্সের মেয়াদ, লেকচার-ঘণ্টা, ল্যাবরেটরিতে কাজের ঘণ্টা, ফিল্ডওয়ার্ক ইত্যাদি।
- পরীক্ষা, রচনা, প্রজেক্ট ওয়ার্ক ইত্যাদি।
বৃত্তি নিয়ে HSC এর পর দেশের বাইরে পড়তে যান,তারা নিচের বৃত্তিগুলো দেখতে পারেন.
* ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* ইন্দোনেশিয়া গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* মিশর গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* রাশিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* আজেরবাইজান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* চাইনিজ গভর্নমেন্ট বৃত্তি
*জাপান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* রোমানিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* হাঙ্গেরিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* ব্রুনেই দারুসসালাম গভর্নমেন্ট বৃত্তি
* তুর্কিশ গভর্নমেন্ট বৃত্তি
৬. কি কি পরীক্ষা দেয়া লাগবে
কিছু কিছু দেশ যেমন চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, তাইওয়ান এই দেশগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। তাই এই সব ক্ষেত্রে IELTS এর দরকার নেই। কিন্তু মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং ইত্যাদি দেশগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে আবার IELTS এর দরকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আবার একটি অপসন রয়েছে এমন আপনি যদি ওই সব দেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের ইংলিশ কোর্স করেন আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি কিংবা তার আগে সেই ক্ষেত্রে IELTS স্কোর লাগে না আবেদন করতে। তবে এই ইংলিশ কোর্স বাবদ বেশকিছু টাকা খরচ হবে আপনার।
৭. প্রফেশনাল রাইটিং
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি ভীতি হলো এক্যাডেমিক রাইটিং অথবা প্রফেশনাল রাইটিং।বিভিন্ন ভার্সিটিতে বৃত্তির জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনার এসওপি,কিছু রিটেন স্যাম্পল ওদের দিতে হয় যেমন আপনি যে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস টা দিবেন, সেটাতেও আপনার অনেক এক্যাডেমিক রাইটিং লিখতে হবে।
৮. কিভাবে ডকুমেন্ট পাঠাবেন
বাইরে আবেদনগুলোগুলো বেশিরভাগ অনলাইন নির্ভর কিন্তু তারপরও অনলাইনে আবেদন করে আবার সেই আবেদনের প্রিন্ট কপি এবং সাথে আরো কিছু ডকুমেন্ট (সাধারণত পয়েন্ট ৪ এ বর্ণিত) এক করে আপনাকে বাইরে পাঠাতে হবে অনেক ক্ষেত্রে। যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের জন্যও এই কুরিয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ঢাকার বাইরে থেকে যে কোনো ভালো কুরিয়ার যোগে আপনার ডকুমেন্টগুলো এদের কাছে পাঠিয়ে দিবেন এবং চার্জ বিকাশ করে দিয়ে দিবেন।
৯. সর্বমোট কত খরচ পড়তে পারে
বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের টাকায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে আপনার খরচ একদম কম করে পড়বে ৬.৫ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এবং মানবিকের বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে আর ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা যাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পড়াশোনা করতে। তবে এই খরচের পরিমান মালয়েশিয়া এবং চীন হিসেব করে দেয়া। অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই খরচ আরো বাড়ার সম্ভাবনা আরো বেশি বিশেষ করে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশগুলোতে।
১০. রিকোমেন্ডেশন
বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লেটার অফ রিকমেন্ডেশনকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। মূলত আপনার সম্পর্কে জানে, আপনাকে ভালো চিনে এমন ২ থেকে ৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন আপনার প্রয়োজন হবে।
১১. কিভাবে স্কলারশিপের খোজ পাবেন
প্রথমেই খোজ করতে হবে বিভিন্ন দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ। নানা দেশের বাংলাদেশের দূতাবাসেও বৃত্তির সব তথ্য দেয়া থাকে।দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেও ওই দেশের রাষ্ট্রীয় বৃত্তি গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। আমাদের দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর ওয়েবসাইটেও থাকে বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির তথ্যসমূহ।
You can see these Education/Scholarship posts also on our Facebook.
Page- jobmatchingbd.com
Group- jobmatchingbd.com-Group
আরও পড়ুন
― সরকারি চাকুরির বিজ্ঞপ্তি দেখুন
― চাকুরির পরীক্ষার রুটিন ও ফলাফল জানুন
― নতুন পুরাতন পণ্য বেচা-কেনা করুন
Post Related Things:
University admissions in Bangladesh , university admissions bd , admission date , medical admission requirements in Bangladesh , professional training courses in Bangladesh , skills development in Bangladesh , job interview questions in Bangladesh , cv writing format in Bangladesh , Job exam preparation in Bangladesh , job exam preparation , education in Bangladesh,